যখন আপনি নামায-টি পড়বেন তখন আল্লাহতা'লা আপনার অতীত ও ভবিষ্যতের, নতুন ও পুরোনো , জানা এবং অজানা, ছোট-বড়, গুপ্ত ও প্রকাশিত সব গুনাহ মাফ করে দিবেন।
তারপর নবীজী (সাঃ) সালাতুল তাসবীহ পড়ার পুরো ব্যাপারটি দেখিয়ে দিলেন এবং আরো বলেন, যদি পারেন তবে এই নামাজ দিনে একবার পরবেন, নাহলে প্রতি শুক্রবার , যদি তাও না পারেন তবে মাস এ একবার, আর তাও না সম্ভব হলে বছর এ একবার, আর এটাও যদি সম্ভব না হয় তবে পুরো জীবদ্দশায় একবার।
★কিভাবে সালাতুল তাসবীহ পড়তে হয়?
** জাওয়াল, সুর্যাস্ত, সূর্যোদয়, নামায এর জন্য নিষিদ্ধ ও মাকরুহ সময় বাদে দিন অথবা রাতের যেকোন সময় একবারে চার রাকাত এ এই নামায আদায় করতে হয়। এখন সালাতুল তাসবিহ নামাজ পড়ার নিয়মাবলি আমরা জেনে নিতে পারি।
সালাত শব্দের অর্থ নামাজ। আর তাসবিহ বলতে এখানে
★‘সুবাহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার’★
এই তাসবিহকে বোঝানো হয়েছে। সুতরাং যে নামাজে এ তাসবিহ পড়া হয় তাকে সালাতুল তাসবীহ নামাজ বলে। এ নামাজ হলো চার রাকাত। প্রতি রাকাতে উপরিউক্ত তাসবিহ ৭৫ বার পড়তে হয়। তাহলে চার রাকাতে ৩০০ বার হয়। সালাতুল তাসবীহ নামাজ পড়ার নিয়ম হলো :
★ প্রথমে নিয়ত করবে, “আমি চার রাকাত সালাতুত তাসবিহ নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম।”
★ এরপর ছানা অর্থাৎ সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা_এটা পড়বে।
★ এরপর সুরা ফাতেহা,এরপর যেকোনো সুরা মেলাবে।
★ সুরা শেষ করে ওই দাঁড়ানো অবস্থায়ই ১৫ বার তাসবিহ পাঠ করবে।
★ এরপর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাবে। রুকুর তাসবিহ পড়ার পর ‘রুকু থাকা অবস্থাতেই’ আবার ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বে।
★ এরপর রুকু থেকে উঠে ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’ বলার পর আবার ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বে।
★ এরপর সিজদায় যাবে। সিজদার তাসবিহ পড়ার পর ‘সিজদাহ থাকা অবস্থাতেই’ ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বে।
★ সিজদা থেকে উঠে দুই সিজদার মাঝখানে আবার ১০ বার তাসবিহ পড়বে।
★ দ্বিতীয় সিজদায় সিজদার তাসবিহ পড়ার পর আবার ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বে।
এই হলো ৬৫ বার।
★ এখন আবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে দ্বিতীয় সিজদা থেকে উঠে বসে থেকেই আবার ১০ বার তাসবিহ পড়বে। অতঃপর দাঁড়াবে। এই হলো এক রাকাতে ৭৫ বার।
এবার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে একইভাবে সুরা ও তাসবিহ পড়তে হবে।
★ দ্বিতীয় রাকাতে ও শেষ রাকাতে ‘আত্তাহিয়্যাতু’ পড়ার আগে ১০ বার তাসবিহ পড়ে নিতে হবে।
তারপর সালাম ফেরাতে হবে। কোনোভাবেই আত্তাহিয়্যাতুর পর তাসবিহ পড়া যাবে না এবং কোনোভাবেই প্রতি রাকাতে ৭৫ বারের বেশি পড়া যাবে না।