নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৭৩৪তম পর্বে গর্ভবতী থাকা অবস্থায় মহিলাদের বিয়ের বিধান সম্পর্কে ই-মেইলে জানতে চেয়েছেন নাহার সামসুন। অনুলিখনে ছিলেন মুন্সী আবদুল কাদির।
প্রশ্ন : কোন মহিলা প্রেগনেন্ট (গর্ভবতী) হয়ে বিয়ে করলে সেটা কি ইসলামে জায়েজ হবে?
উত্তর : না। এ বিয়ে শুদ্ধ হবে না। এ বিয়ে জায়েজ নেই। এ অবস্থায় যদি কারো বিয়ে হয়, তাহলে শরিয়াহ অনুযায়ী বিয়েটি ফাসেদ বা বাতিল একটি বিয়ে হবে। শরিয়াহ এ বিয়েকে অনুমোদন করে না। এটি নাজায়েজ। তাই তিনি যদি প্রেগনেন্ট অবস্থায় থাকেন, তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত তার বিয়ে জায়েজ নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি সন্তান প্রসব না করবেন। সন্তান প্রসব করার পরেই তাঁর জন্য বিয়ে জায়েজ রয়েছে। তিনি তখন বিয়েতে বসতে পারবেন বা বিয়েতে রাজি হতে পারবেন। অন্যথায় তাঁর এ বিয়েটা শুদ্ধ নয়।
আর এ প্রেগনেন্সির কারণ যদি ওই পুরুষ এবং মহিলা নিজেরাই হয়ে থাকেন অর্থাৎ বিয়ের আগেই যদি তাঁরা এ অন্যায় কাজটি করে ফেলেন, তাহলে তাঁদেরও সন্তান প্রসব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অন্যথায় বিয়ে তো হবে না। শরিয়াহ তাঁদের এ বিয়ে অনুমোদন করবে না, অর্থাৎ সে বিয়ে গ্রহণযোগ্য হবে না।
তবে তাঁরা অপেক্ষা করবেন। সন্তান প্রসব হওয়ার পরই কেবল শরিয়াহ অনুযায়ী তাঁদের বিয়ে হতে পারে। সে ক্ষেত্রেই শুধু তাদের একটি সুযোগ থাকবে, তা হলো এই সন্তানকে তাঁরা স্বীকার করে নেবেন। অর্থাৎ বিয়ের সময় স্বামী এ সন্তানটিকে স্বীকার করে নেবেন। তাহলে এ সন্তানকে তাঁদের সন্তান হিসেবে শরিয়াহ অনুমোদন দেবে।