আমাদের সাইটের সকল কার্যক্রম এখন Arbd.pw সাইটে
Welcome To Abc24.GA
.Oct 7, 2018

সুইসাইড করার সহজ কিছু পদ্ধতি, জেনে নিন বিস্তারিত, কাজে লাগবে।


ইদানীং খেয়াল করলাম সুইসাইডের প্রবনতা বেশ বাড়ছে৷ তবে দেখা যাচ্ছে বাকিরা সঠিকভাবে সুইসাইড করতে না পেরে কেউ গলার চামড়া চিলে ফেলছেন, আবার কেউ ঘুমের ঔষুধ খেতে গিয়ে ডায়রিয়া ঔষুধ খেয়ে ফেলছেন, আবার কেউ সুইসাইড করতে গিয়ে ফ্যান ছিড়ে পা ভাঙছেন৷ যারা নতুন করে ডিসিশান নিলেন সুইসাইড করবে, কিন্তুু সহজ উপায় পাচ্ছে না বলে করতে পারছে না আজকে তাদের কিছু টিপস দিবো যাতে তারা সহজে সুইসাইড করে দেশ ও জাতির উপকারে আসে৷

১) প্রথমে বলবো আপনি যদি খালি গায়ে থাকেন আগে জামা পরে নিবেন৷ কারণ খালি গায়ে মরলে একটা ইজ্জতের ব্যপার আছে৷ তবে অবশ্যই এটা কালো জামা হতে হবে সাথে মাথায় রাখবেন রুমে কোনোভাবে ফ্যান চলা চলবে না৷ এই পদ্ধতিটা ঠিক ভোরে ইউজ করবেন একদম ঠিক ঘুম থেকে ওঠে৷ বাজার থেকে ফার্মের দুটো ডিম বাসায় এনে সিদ্ধ করে টেবিলে রাখবেন৷ ভুলেও কোনো সুইসাইড নোট লিখতে যাবেন না৷ কারণ সুইসাইড নোট লিখে এখানে সময় নষ্ট করা চলবে না৷ টেবিলে উপর কোনো পানি রাখা চলবে না৷ সিদ্ধ ডিম দুটো পরপর মুখে দিয়ে গিলে ফেলবেন এবং মনে করবেন পৃথিবীতে পানি বলতে কিছু নাই৷ একটু দম বন্ধ রাখুন প্রচুর পানির পিপাসা পাবে কিন্তুু খাবেন না তারপর দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার দম হয়ে আসছে এবং এভাবে সিদ্ধ ডিম খেয়ে মরে যাবেন৷

২) ইহা একটি আদিম যুগের পদ্ধতি৷ যারা খুব লাজুক তাদের জন্যে কেবল এই পদ্ধতিটা৷ কেবল মাত্র ছেলেরা এটা ইউজ করবে৷ ভুলেও কোনও মেয়ে এটা ফলো করবেন না৷ আপনি যে জেলায় থাকুন না কেন, শহরের যে কোনো ব্যস্ততম বাজারের মাঝখানে চলে যান৷ এদিক সেদিক না তাকিয়ে পরনের জামা কাপড় সব খুলে ফেলবেন৷ হয়তো ভাবছেন ইজ্জতের কথা? আরে ভাই মরেই যখন যাবেন ইজ্জত দিয়া কি হবে? জামা কাপড় খোলার পর লোকজন আপনার দিকে চোখ বড় করে যখন তাকাবে আপনি তখন লজ্জায় লাল হয়ে সাথে সাথেই মরে যাবেন৷

৩) যারা খুব ভোজন রসিক এই উপায়টা তাদের জন্যে৷ কেকা ফেরদৌসির নাম নিশ্চয় শুনে থাকবেন৷ প্রথমত আপনারা কষ্ট করে উনার বাসায় চলে যাবেন৷ গিয়ে বলবেন ম্যাম আপনার যেকোনো অদ্ভুত কিছু রান্না খেতে চাই৷ উনি প্রথমে লজ্জা পেয়ে বলবে না না কি বলো আমিতো রান্না করতেই পারিনা তোমরা কিযে বলো না! তারপর দেখবেন আপনাকে এমন একটা স্পেশাল আইটেম খাওয়াবে এরপরে আশা করি বলতে হবে না আপনি কি দুনিয়ায় বেঁচে থাকবেন না মইরা যাবেন৷

৪) শপিংমল থেকে ভালো দামী একটা ইয়ারফোন কিনে নিয়ে আসুন৷ এখন যে পদ্ধতির কথা বলবো এটা একদম লেটেস্ট পদ্ধতি৷ শুনেছি এটা ফলো করে অনেকেই ইদানীং সহজে মরছে৷ প্রথমে যেটা করতে হবে, রুমের দরজা জানালা বন্ধ করুন৷ ফোনটা হাতে নিন তারপর প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী গুরু মাহফুজুর রহমানের একটা গান, বেশি না একটা গান পুরোটা ইয়ারফোন কানে লাগিয়ে শুনুন৷ তারপরে যদি না মরেন আমাকে এসে বলবেন৷

৫) এটা হলো কাতুকুতু পদ্ধতি৷ শুরশুরি নেই এমন লোক খুবই কম তবুও অনেকের আবার এটা নেই তাই যাদের শুরশুরি বেশি এটা কেবল তাদের জন্যে৷ আপনার পরিচিত কাউকে বাসায় দাওয়াত করবেন৷ খাওয়া দাওয়া করার পর তাকে বলবেন আপনাকে যেন পেটে, পায়ে বগলে শুরশুরি দেয়৷ আপনি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়া পর্যন্ত যেন দেয়৷ একটা সময় হাসতে হাসতে নিজেই মায়ের ভোগে চলে যাবেন৷ তবে মনে রাখবেন মরার আগে সুইসাইড নোট লিখে যাবেন "হাসিতে হাসিতে মরিয়া গেলাম, কেউ আমার মৃত্যর জন্যে দায়ী নয়" তবে হাতের লেখা যেন মসৃণ এবং ক্লিয়ার হয়, না হলে আপনার বাজে হাতের লেখা দেখে অন্য কেউ হার্টফেল করে মারা যেতে পারে৷

৬) পাদ থেরাপী৷ এ পদ্ধতিটা সবসময়ই খুব জনপ্রিয়৷ প্রাচীনকালে রাজা বাদশাদের মারতে এটা ইউজ করা হত৷ এলাকার সেরা পাদুড়ের কাছে যান৷ দরজা জানালা বন্ধ করে তাকে বলুন ব্রুম ব্রুম করে বা পিস করে সাইলেন্ট কিলার ছাড়তে৷ তারপরে আস্তে আস্তে আপনার শরীরের সব কিছু নিস্তেজ হয়ে যাবে এবং আপনি সহজেই মরে যাবেন৷

৭) ব্লু হোয়াইল নামে একটা গেম নাকি ইদানীং চলছে খুব৷ যারা মরতে গিয়েও মরতে পারে না তারা এ গেমটা মাস্ট খেলবে৷ এ গেমে মজা আছে৷ খুব ঠান্ডা মাথায় এ গেমটা খেলে সহজেই মরা যায় বাট এ গেমে আপনাকে অবশ্যই সাহসী হতে হবে কারণ এ গেমের লাস্ট স্টেপে আপনাকে লাফ দিয়ে মরতে হবে৷

৮) একদম শেষ একটা পদ্ধতির কথা বলবো৷ এটা হলো সুইসাইড করার সবচেয়ে কঠিন পদ্ধতি কিন্তুু অথচ একজন সহজ, তবুও এ পদ্ধতি এখন পর্যন্ত কেউ ইউজ করেনি কারণ কেউ এটা করার সাহস পায়নি বা অর্ধেক পথে ফিরে আসে৷ সেটা হলো নিজের দু হাত দিয়ে নিজের নাক মুখ চেপে ধরে রাখা৷ হয়তো চেষ্টা করে দেখতে পারেন৷ আমি জানি পারবেন না তবে এ পদ্ধতি এখন পর্যন্ত কেউ সফল হয়নি৷ নতুন করে কেউ এ পদ্ধতি অনুসরণ করে একটা মাইলফলক তৈরি করুন৷

একটা সময় সবাই মারা যাবে, কেউ আগে বা পরে৷ তাই যারা ডিসিশান নিয়েই ফেলেছেন মরেই যাবেন৷ তারা এগুলো ফলো করতে পারেন৷

আমাকে ধন্যবাদ দিতে হবে না৷
নিজে মরুন, অন্যকে মরতে উৎসাহ করুন৷
দেশ ও জাতির উপকারে আসুন৷
ধন্যবাদ