আমাদের সাইটের সকল কার্যক্রম এখন Arbd.pw সাইটে
Welcome To Abc24.GA
.Sep 29, 2018

মঙ্গল গ্রহে কি প্রাণের অস্তিত্ব আছে? মঙ্গল গ্রহে কি মানুষ বাস করতে পারবে?


আজ আপনার ভাবনাকে পাল্টিয়ে দেবে এই মঙ্গলগ্রহ!!

মঙ্গল গ্রহ!! সৌরজগতের শেষ পার্থিব গ্রহ , যার রয়েছে পৃথিবীর মতই ভুত্বক ! সৌরজগতে পৃথিবীর পরেই বিজ্ঞানীদের পরম আগ্রহের গ্রহ হল মঙ্গল। কারন পৃথিবী ব্যতিত সৌরজগতে প্রানের অস্তিত্ব থাকার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি এই মঙ্গলেই। চলুন দেখি মঙ্গলের রহস্য কেন বিঙ্গানীদের মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে??

মঙ্গল (Mars) হল সূর্য হতে চতুর্থ দূরবর্তী গ্রহ যা পৃথিবীর ঠিক পরেই, সূর্যের বিপরীতে অবস্থিত। রোমান যুদ্ধ দেবতা 'Mars' এর নামানুসারে এর নাম মার্স (মঙ্গল) রাখা হয়েছে। মঙ্গলকে অনেক সময় 'লাল গ্রহ' (Red Planet) বলেও অভিহিত করা হয়; কারন এটিকে পৃথিবী থেকে লাল দেখায় বলে! এর মাটি আয়রন অক্সাইডের সমন্বয়ে গঠিত (যাকে মরিচা বলা হয়)।

আপনি যখন পৃথিবী থেকে মঙ্গলকে দেখবেন তখন লাল দেখা যাবে! অপরদিকে মঙ্গল থেকে পৃথিবীকে একটি বড় নীল গ্রহ মনে হবে ! কারন হলো পৃথিবীর ভু-ভাগের বড় অংশই পানি দ্বারা বেষ্ঠিত । আর মঙ্গল গ্রহের ভু-ভাগ মরিচা দ্বারা আচ্ছাদিত ! সন্ধ্যার সময় পশ্চিম আকাশে যে বড় লাল তারাটিকে দেখি আমরা, ওটাই মঙ্গল গ্রহ !! এবার দেখা যাক মঙ্গল গ্রহের কিছু গুরুত্বপূর্ন বৈশিষ্ট্যঃ

•পৃথিবীর যেমন একটি উপপ্রহ তেমনি মঙ্গলের উপগ্রহঃ ২টি; ফোবস (Phobos) এবং ডিমস (Deimos)
•নিজ অক্ষের উপর ঘুর্ণণকালঃ ২৪ ঘন্টা ৩৭ মিনিট যা পৃথিবীর প্রায় সমান !!
•তাপমাত্রাঃ মাইনাস ১৪০ ডিগ্রি হতে ২০ ডিগ্রি সিলসিয়াস পর্যন্ত (গড় তাপমাত্রা মাইনাস ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)
•মঙ্গলের ১ বছর = পৃথিবীর ৬৮৭ দিন
•ব্যাসঃ ৬৭৯৬ কিঃমিঃ (৪২২৩ মাইল)
•বায়ুমন্ডলঃ কার্বন ডাই অক্সাইড !
•আপেক্ষিক ঘনত্বঃ ৩.৯ (পানির ১)
•সূর্য হতে দূরত্বঃ ২২৭.৯ মিলিয়ন কিঃমিঃ
•ভরঃ ৬.৪এর পর ২৩টি শুন্য বসালে যত হবে তত কিলোগ্রাম!!

এবার দেখা যাক এর বায়ুমন্ডলে কি কি বিদ্যমান রয়েছেঃ

*৯৫.৭২% কার্বন ডাই অক্সাইড
*২.৭% নাইট্রোজেন
*১.৬% আর্গন
*০.২% অক্সিজেন
*০.৩% পানি (বাষ্প)

এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে মঙ্গলে প্রানের অস্তিত্ব খুবই ক্ষীন । কিন্তু আনবিক প্রানের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না । কারন হলো সম্প্রতি নাসা মঙ্গল গ্রহে পানির অস্তিত্ব খুজে পেয়েছে । আর প্রানের প্রথম সুত্র হচ্ছে পানি!!

এবার আপনাকে মঙ্গল গ্রহে পাঠিয়ে দেয়া হলো । এখন দেখবার বিষয় ওখানে আপনি টিকে থাকতে পারবেন কি না??
আগেই জেনেছি যে মঙ্গলে অক্সিজেনের পরিমান খুবই কম । এই অক্সিজেনে আপনি বড়জোর ৪৮দিন বেচে থাকতে পারবেন । কিন্তু শুধু বেচে থেকে কি লাভ? খাবারের ত প্রয়োজন!! মঙ্গল গ্রহে কোন গাছপালা চিহ্ন মাত্র নেই, নেই তরল পানি যা আপনি পান করবেন। রয়েছে উচুনিচু ভুমি যা ছোট বড় পাথরে ভরা!! তবে পানি রয়েছে বাষ্প আকারে কিংবা বরফ হয়ে । তাও আবার সবখানে নয়। শুধুমাত্র গোটা মঙ্গলের ৩% জায়গাতে তা পেতে পারেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় দুংসবাদ হলো এর লাল দানব। লাল দানব কি আবার?

লাল দানব হলো এর বালি ঝড়ের নাম। যাকে বলে রেড ডেভিল ডাস্ট বা ডাস্ট ডেভিল। মঙ্গল গ্রহের নির্দিষ্ট সময় অন্তে হানা দেয় এই বিশাল ঝড় যা থেকে আপনি বেচে ফিরতে পারবেন কিনা তা উপরওয়ালা জানে ।

তাহলে কি দাড়ালো? ৪৮ দিন? হ্যা ৪৮ দিন বেচে থাকতে পারবেন যদি পৃথিবী থেকে শুকনো খাবার নিয়ে যান । কিন্তু হজম করার জন্য ত চাই পানি?? সুতরাং হিসাব কষে মঙ্গল গ্রহে আপনি বড়জোর তিনদিন বাচতে পারবেন। একারনে মানুষ এখনো মঙ্গলে বসবাসের চিন্তা করছে না । তবে ভবিষ্যতে মানুষ মঙ্গল গ্রহে বসবাসের চিন্তা করছে এবং ২০৩২ সালের মধ্যে মানুষ পাঠাবে ! তবে তার আগে মঙ্গলগ্রহকে ভালভাবে জানতে হবে । আর তা জানতে হলে ওখানে রোবট পাঠাতে হবে বা মহাশুন্যযান পাঠাতে হবে । তাহলে চলুন দেখি মানুষ মঙ্গল গ্রহে রোবট পাঠিয়েছে কি না!!

মঙ্গলে যাত্রাকারী প্রথম মহাকাশযান হল

'মেরিনার-৪' (১৯৬৫)। কিন্তু এটি ওই লাল গ্রহে পৌছানোর আগেই ধ্বংস হয় যায়। তবে মঙ্গলে অবতরণকারী প্রথম মহাকাশ যান হল

'মার্স-২' (১৯৭৬)।
এরপর প্রায় দীর্ঘ ২০ বছর বিরতির পর ১৯৯৭ সালে মঙ্গলে অবতরণ করে পাথফাইন্ডার। বলা হয় পাথফাইন্ডার সবচেয়ে সফল মঙ্গল অভিযান। এরপর নিয়মিতই মঙ্গলের বুকে মহাকাশযান অবতরণ করেছে। সর্বশেষ ২০১২ সালে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং মহামুল্যবান রোবটযান মঙ্গলে অবতরণ করে; এবং পানির জন্য অনুসন্ধান চালাচ্ছে আজো । আর তা হলো "কিউরিওসিটি"!!

কিউরিওসিটি এপর্যন্ত কি কি তথ্য পেয়েছে তা একটু পরেই বলছি। এখন দেখি মঙ্গলগ্রহের বায়ুমন্ডলের অবস্থা কিরূপ-

মঙ্গলের বায়ুমন্ডল খুব পাতলা। এতে কার্বন-ডাই-অক্স াইড ৯৫%, নাইট্রোজেন ২%, আর্গন ১-৬%, অক্সিজেন ০.২% এবং পানি ০.০৩% বিদ্যমান। বায়ুমন্ডলের চাপ পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের ১% মাত্র। এছাড়া শক্তিশালী ধুলি ঝড় মঙ্গলের বায়ুমন্ডলের অন্যতম বৈশিষ্ট। মঙ্গলের আবহাওয়া খুব সম্ভবত সৌরজগতের সবচেয়ে মরুময় আবহাওয়া। অবাক হওয়ার মত ব্যাপার যে এত পাতলা বায়ুমন্ডল থাকা সত্বেও মঙ্গলের আবহাওয়া সবচেয়ে মরু এবং ধুলিঝড়ময়। আর এমন ভয়ংকর বায়ুমন্ডল যদি আমাদের পৃথিবীর হতো তবে এটিও হয়ে যেত মঙ্গলের মত একটি গ্রহ । শুকরিয়া করি যে এরকম বায়ুমন্ডলে আমরা বাস করছি না!

এবার মঙ্গলগ্রহের চাঁদদুটি সম্পর্কে একটু জেনে নিই!!

মঙ্গলের চাঁদ (উপগ্রহ) দুটি। এবং দুটি উপগ্রহই মঙ্গল পৃষ্ঠ থেকে খুব কাছাকাছি। 'Phobos' এর ব্যাস ১১ কিঃমিঃ

বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন নিকট ভবিষ্যতে (১০ থেকে ৫০ মিলিয়ন বছরের মধ্যে) Phobos মঙ্গলের বুকে আছড়ে পড়বে। কারন প্রতি ১০০ বছরে Phobos আর মঙ্গলের দূরত্ব ১.৮ মিটার করে কমছে!!

আর Deimos এর ব্যাস ৬ কিঃমিঃ

চলুন এবার কিছু মজার তথ্য দেয়া যাক ! মঙ্গলে খুব ক্ষীণ চৌম্বকক্ষেত্র বিদ্যমান। এর মধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণের মাত্র ৩৮% (প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ)। একারনে পৃথিবীতে আপনি লাফ দিয়ে ৩ ফুট উঁচুতে উঠতে পারলে মঙ্গলে আপনি লাফ দিয়ে ৯ ফুট উঁচুতে উঠতে পারবেন।

আরও কিছু অবাক ও মজার তথ্য-
•মঙ্গল গ্রহই একমাত্র গ্রহ যার ভূ-পৃষ্ঠ পৃথিবী থেকে টেলিস্কোপের সাহায্যে পরিষ্কার দেখা যায়।
•যদিও মঙ্গল গ্রহ পৃথিবীর তুলনায় অনেক ছোট, তথাপি মঙ্গলের ভূ-পৃষ্ঠের পরিমাণ পৃথিবীর চেয়ে বেশি।
•নিজ অক্ষের উপর মঙ্গলের গতি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৪.৫ মাইল (পৃথিবীর ক্ষেত্রে ১৮.৫ মাইল প্রায়)।
•গত ৬০,০০০ বছরের মধ্যে ২০০৩ সালে মঙ্গল পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি ছিল (মাত্র ৫৫,৭৬০,০০০ কিঃমিঃ দূরে)।
•অতিরিক্ত শুষ্কতার কারনে সৃষ্ট ধুলিঝড় এতই তীব্র হয় যে তা অনেক সময় পুরো গ্রহকে ঢেকে ফেলে।
•সৌরজগতের সবচেয়ে দীর্ঘতম এবং গভীরতম গিরিখাত ভ্যালিস মেরিনারিস (Valles Marineris) মঙ্গল পৃষ্ঠে অবস্থিত। এটা মঙ্গলের নিরক্ষীয় রেখা বরাবর ৪ হাজার কিঃমিঃ অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত এবং এর সর্বোচ্চ গভীরতা ৭ কিঃমিঃ।
•মঙ্গলের সর্বোচ্চ পর্বত হল অলিম্পাসমন্স (Olympus Mons) (আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ যা ২৭ কিঃমিঃ উঁচু)। এই Olympus Mons হল সৌরজগতের সবচেয়ে উঁচু পর্বত ! এ পর্বত আমাদের এভারেস্টের প্রায় ৩ গুণ উঁচু।
• মঙ্গলের রাতের আকাশে একসাথে দুটি চাদকেই দেখা যায় এবং ধারনা করা হয় এই দুটি চাদের মিলন এই সৌরজগতের সবচেয়ে রোমান্টিক ও সুন্দর দৃশ্য !

রোবটযান কিউরিওসিটি মঙ্গলের বুকে কি করছে তা এখন বলছি!

কিউরিওসিটি রোভার ২০১২ খ্রিস্টাব্দে মঙ্গল গ্রহে নাসার প্রেরিত চতুর্থ রোবটযান। মঙ্গল গবেষণার ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত নাসার বিজ্ঞানীদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। রোবটযানটির ওজন প্রায় ১ টন। এই প্রথম নাসা এত বেশি ওজনের যান কোনো গ্রহে সফলভাবে নামাতে সক্ষম হয়েছে। মিশনের বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গল গ্রহে এপর্যন্ত যত অনুসন্ধানী যান পাঠানো হয়েছে, তার মধ্যে ১ টন ওজনের এই কিউরিওসিটিই সবচেয়ে উন্নত!!কিউরিওসিটি পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাতে সময় নিয়েছে নয় মাস। এটি ২০১১ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে যাত্রা শুরু করে এবং ৫৭ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছায়। এ রোবটকে বলা হচ্ছে ‘পূর্ণাঙ্গ জৈব গবেষণাগার’।

এর কাজ হলো এ গ্রহের প্রাচীন আবহাওয়া ও জলবায়ু জানার চেষ্টা করবে। এতে জানা যাবে, মঙ্গল কখনো আনুবীক্ষণিক জীব বসবাসের উপযোগী ছিল কি না এবং এখন সেখানে জীবনধারণের মতো পরিবেশ আছে কি না বা ভবিষ্যতে সে অবস্থা তৈরির সম্ভাবনা আছে কি না। এক কথায়, প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি কিলোমিটার পেরিয়ে মঙ্গলে সফল অবতরণ করা রোভার কিউরিওসিটির মিশনের উদ্দেশ্য মঙ্গলের আবহাওয়া ও প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধান।

কিউরিওসিটি কিন্তু কাজের কাজটি ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে !! মঙ্গলগ্রহে জলের অস্তিত্বের প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে কিউরিওসিটি। নাসার তরফে দাবি করা হয়েছে, কিউরিওসিটি মঙ্গলগ্রহের যেখানে অবতরণ করেছে সেই এলাকা দিয়ে একসময় বয়ে যেত জলের ধারা। মঙ্গলের উত্তরদিকে মাউন্ট শার্প এলাকায় একটি পাথরের খণ্ডের ছবি পৃথিবীতে পৌঁছনোর পরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, ওই পাথরখণ্ডের আকার ও স্তরবিন্যাস স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, তার ওপর দিয়ে একসময় জলের ধারা বয়ে যেত। প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞানীদের অনুমান, হাঁটু গভীরতার জলের ধারা বইত ওই পাথরের ওপর দিয়ে। তবে পাথরটির রাসায়নিক বিশ্লেষণ এখনও করা বাকি। নাসার বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, পাথরখণ্ডগুলি আকারে গোলাকার। একটি আকারে বেশ বড়। তাই বাতাসে স্থানচ্যূত হওয়ার আশঙ্কা নেই। যা দেখে বিজ্ঞানীদের সিদ্ধান্ত, এগুলির আকার জলস্রোতের ফলেই এমন হয়েছে।

এবার সবচেয়ে মুল্যবান ও গত শতাব্দির অন্যতম সেরা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি!! মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নাকি অসম্ভব? এখানে কি মানুষ বাস করতে পারবে?

যেকোন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার প্রাথমিক শর্ত হল সেখানে পানির উপস্থিতি থাকতে হবে। আর তা মঙ্গলে রয়েছে !মঙ্গলে অসংখ্য খাদ নালার উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এইসব খাদ নালার উপস্থিতি থেকে বলা যায় এক সময় মঙ্গলে তরল পদার্থ (যেটা পানি হওয়ার সম্ভবনা খুবই বেশি) প্রবাহমান ছিল এমনকি বন্যাও ছিল। এছাড়া খুব সম্ভবত বড় বড় লেক এমনকি সাগরও ছিল (যা মহাকাশযান থেকে পাঠানো উচ্চ রেজুলুশনের ছবি দেখে ধারণা করা যায়)। তবে এ ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে মঙ্গলের বর্তমান আবহাওয়া। কারন পুরো মঙ্গল একটি শুষ্ক, ধুলিঝড়ময় গ্রহ। কিন্তু ২০০৫ সালে পাঠানো মঙ্গলের ছবি পর্যালোচনা করে জমাট বাঁধা বরফের সাগরের মত দেখা যায় যা থকে অনুমান করা হয় খুব কাছের অতীতে (প্রায় ৫ মিলিয়ন বছর আগে) এই জমাটবাঁধা অংশ তরল ছিল। এইসব অনুমান পুংখানুপংখ প্রমাণ করা কঠিনই বটে।

তবে ফিনিক্স মহাকাশযানের অনুসন্ধানে পর বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলছেন যে মঙ্গলের সারফেসে পানি না থাকলেও ভূ-পৃষ্ঠের নিচে জমাট বাঁধা বরফ আছে। অনুমান করা হচ্ছে উত্তর মেরুতেই আছে জমাট বাঁধা বরফের "ক্যাপ" এ পর্যন্ত মহাকাশযানের পাঠানো ছবি ও তথ্য পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে এখন পর্যন্ত মঙ্গলে প্রাণের কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি; সবই অনুমান নির্ভর। তবে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভবনা অতীতে যেমন ছিল, বর্তমানেও আছে। এর কারন হল মঙ্গলের যে সমস্ত অঞ্চলে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি সেখানকার ছবি এবং তথ্য এখনও সুক্ষভাবে পরীক্ষা করা যায়নি। হয়ত ভবিষ্যতে একদিন সত্য জানা যাবে।

কে জানে?? হয়তো অদুর ভবিষ্যতে মানুষ আবিষ্কার করে ফেলবে যে মঙ্গলেও প্রান আছে! হয়তো আর বেশিদিন নেই মানুষ মঙ্গলগ্রহে বসতি স্থাপন করবে !