আমাদের সাইটের সকল কার্যক্রম এখন Arbd.pw সাইটে
Welcome To Abc24.GA
.Jun 16, 2017

রমজানে যে কাজগুলো পালন করা সুন্নাত




রমজান মাসে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্ট লাভ
করতে আল্লাহ তাআলার কথা মেনে কাজ করা।
রমজান মাস গুনাহ মাফ করার মাস। এই মাসে
আমাদের সকল পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে
হবে। আর আল্লাহ তাআলার সঠিক কাজ অর্জন
করতে পারলেই আমরা পরকালে জান্নাত লাভ
করতে পারবো। রমজান মাসে আল্লাহ
তাআলাকে ভয় তথা তাকওয়া অর্জন করা। তাকওয়া বা
আল্লাহর ভয়ই মানুষের যাবতীয় ইবাদত-
বন্দেগিকে গ্রহণযোগ্য করতে কার্যকরী
ভূমিকা পালন করে। রমজানের তাকওয়া অর্জনের
জন্য আরো কিছু সহায়ক কাজ করা আবশ্যক। যা
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন
করেছেন।

রমজান মাসে রোজাদারের জন্য আমাদের
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কিছু
গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত কাজ রয়েছে। যে
কাজগুলো করা সব রোজাদারের জন্য একান্ত
জরুরি। আসুন সেগুলো জেনে সঠিক ভাবে
চলতে পারি ও তা পালন করতে পারি।

রমজান মাসে সকল মুসলমানরা ইফতারের সময়
রোজাদারদের ইফতারের দাওয়াত দেয়া এবং
ইফতার বিতরণ করা সুন্নাত। যে অন্য
রোজাদারকে ইফতার করাবে, বা ইফতারি বিতরণ
করবে সেও তার সমান সওয়াব পাবে এবং এতে
করে রোজাদারের সাওয়াব থেকে কিছুমাত্র
কমানো হবে না।

তাছাড়া রোজাদারের জন্য রয়েছে আরো
কিছু আমলযোগ্য সুন্নাত। যা রোজাদারের
জন্য আল্লাহ নৈকট্য অর্জনে সহায়ক হবে।
যেমন-

>- অধিক পরিমাণে আল্লাহ তাআলার জিকির করা;
>- দিনে ও রাতে কুরআনুল কারিমের তেলাওয়াত
করা;
>- গরীব, দুঃখী ও অসহায়দের মাঝে দান-সাদকা
করা;
>- বিগত জীবনের গোনাহের কথা স্মরণ
করে বেশি বেশি তাওবা ও ইসতেগফার করা;
>- আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীসহ
সাহায্য প্রার্থণাকারী রোগীদের সেবা করা;
>- আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখা এবং
>- নিজের জন্য ও মুসলিম উম্মাহর মাগফেরাত
কামনায় দোয়া করা।

সকল রোজাদার গণ ইফতারের আগ মুহূর্ত
পর্যন্ত ইফতার সামনে নিয়ে তাসবিহ তাহলিল
করতে থাকা এবং ইফতারের সময় হলে খেজুর
দ্বারা ইফতার শুরু করা। খেজুর পাওয়া না গেলে
পানি দ্বারা ইফতার করা।

ইফতারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা। ইফতার শেষ
হলে আল-হামদুলিল্লাহ বলা।

রোজার দিনের যে কোনো সময়
রোজাদারের মিসওয়াক করা সুন্নাত। চাই তা দিনের
প্রথমে হোক বা শেষে হোক ।

রমজান মাসে রোজাদারকে কেউ গালি দিলে বা
তার সাথে ঝগড়া করলে এ কথা বলা যে, ‘আমি
রোজাদার, আমি রোজাদার।’

রমজানের রাতগুলোতে ইশার নামাজের পরে
তারাবির নামাজ আদায় করাও সুন্নাত। আর যে
রোজাদার ইমামের সাথে তারাবিহ নামাজ আদায়
করে বের হবে; তার জন্য সারা রাত জেগে
নামাজ পড়ার সমান সাওয়াব দান করা হবে।

পবিত্র রমজানস মাসে ওমরা পালন করা সুন্নাত।
কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন, ‘রমজানের একটি ওমরা আদায়ে
হজের সমান সাওয়াব রয়েছে।’

রমজান মাসের শেষ দশক হলো জাহান্নামের
আগুন থেকে নাজাত পাওয়ার দশক। এ দশকের
সুন্নাত হলো সব ধরনের ইবাদত-বন্দেগি বেশি
বেশি করা।

বিশেষ করে-

শেষ দশক ই’তেকাফ করার মাধ্যমে মহিমান্বিত
‘লাইলাতুল কদর’ তালাশ করা। এই এক রাতের ইবাদত-
বন্দেগি হাজার মাসের ইবাদত-বন্দেগি
থেকেও উত্তম।’ প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম রোজা ফরজ হওয়ার পর কখনো
ই’তেকাফ ত্যাগ করেন নি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রোজা
পালনে উল্লেখিত সুন্নাত কাজগুলো যথাযথ
আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন




রমজানে যে আমলগুলো করা জরুরি


পবিত্র মাহে রমজান। মাহে রমজান মুসলমানদের
জন্য বিশেষ একটি পাওয়া। এই মাসে আল্লাহ
তাআলা বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। এ মাসে
ইবাদাত-বন্দেগি করে মানুষ বাকি ১১ মাস সঠিক
পথে চলার চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ নেয়। পবিত্র
রমজান মাসেই ‘কম কথা বলার অভ্যাস তৈরি হয়;
ইবাদত বন্দেগির জন্য অল্প নিদ্রার অভ্যাস তৈরি হয়
আবার রমজানের সিয়াম সাধনায় স্বল্প আহারের
অভ্যাসও তৈরি হয়।

আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্ট লাভ করতে হলে
আমাদের খারাপ কাজ থেকে বিরতি থাকতে
হবে। রমজানের এ তিনটি অভ্যাস মানুষকে সারা
বছরের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে তৈরি
করে গড়ে তোলো। বিশেষ করে গরিব-
দুঃখীর ক্ষুধার যন্ত্রণা অনুভব করার মাসও এ
রমজান।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন, ‘এই মাসে চারটি কাজ অবশ্যক
করণীয়। দুটি কাজ তো এমন যে, তার দ্বারা
তোমাদের প্রতিপালক সন্তুষ্ট হন। আর অবশিষ্ট
দুটি এমন, যা ছাড়া তোমাদের কোনো
গত্যন্তর নেই।

কাজ চারটি হলো-

-কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা

- অধিক পরিমাণে ইসতেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা
করা। কালেমা শাহাদাতের জিকির এবং অধিক পরিমাণে
তাওবা ইসতেগফার আল্লাহ তাআলার দরবারে অতি পছন্দনীয় কাজ।

- জান্নাত লাভের আশা করা; এবং

- জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের প্রার্থনা করা। এ
দুটি বিষয় এমন, যা তোমাদের (মুসলিম উম্মাহর)
জন্য একান্ত জরুরি।’ (ইবনে খুজাইমা)

হাদিসে এসেছে যে ব্যক্তি প্রতিদিন তিনবার
জান্নাত লাভ এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রার্থনা
করবে; জান্নাত ও জাহান্নাম ওই ব্যক্তির জান্নাত
প্রাপ্তিতে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করতে
থাকবে। তাই মুসলিম উম্মাহর উচিত এ মাসে এ
দোয়াটি বেশি বেশি পড়া-

ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍَﺩْﺧِﻠْﻨَﺎ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻭ ﻭَ ﻧَﻌُﻮْﺫُﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আদখিলনাল জান্নাতা ওয়া
নাউজুবিকা মিনান নার।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদিগকে বেহেশত দান
করুন এবং আমাদিগকে দোজখ হতে মুক্তি দান
করুন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মাগফিরাতের
দশকের প্রথম দিন থেকেই এ চারটি বিষয়ের
প্রতি যথাযথ যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন।
জান্নাত লাভে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়ার
তাওফিক দান করুন। আমিন।